ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৮৩৭

বাংলাবান্ধায় নির্মাণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৫:৪৪ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। হিমালয় কন্যার পাদদেশে জেলার তেঁতুলিয়া বাংলাবান্ধা পর্যটনে অপার সম্ভাবনার স্থান। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনের পাশাপাশি চা বাগান এখন পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। করোনার সময়েও এ বছর পৌনে ৫ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেছেন এই জেলায়। 

 

প্রতিবছর দেশি-বিদেশি প্রচুর পর্যটকের সমাগম হয় এখানে। চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর আর ইমিগ্রেশন সুবিধা চালু থাকায় বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটানের মধ্যে চালু রয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও মানুষ পারাপার। এ অঞ্চলকে পর্যটনবান্ধব করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। পর্যটকদের আনন্দ দিনে উত্তরের সীমান্ত এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ‘বঙ্গবন্ধু স্কয়ার’।

 

তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠছে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের সুদৃশ্য দুটি পাঁচতলা ভবন। লন্ডন ব্রিজের মতো উভয় ভবন পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে একটি সেতুর মাধ্যমে। অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ তেঁতুলিয়াকে পর্যটনবান্ধব করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

 

স্থলবন্দরের কাছেই মহাসড়কের দুই পাশে স্টিল স্ট্রাকচারের দুটি পাঁচতলা ভবন নির্মিত হবে। প্রতিটি ভবনের দৈর্ঘ্য হবে ৩০ ফুট এবং প্রস্থ ৩০ ফুট। প্রথম ভবনের নিচতলায় থাকবে ঐতিহাসিক জাদুঘর। সরকারের উচ্চমহলের অনুমতি নিয়ে সেখানে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তিসহ বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে সম্পাদিত সব চুক্তির চিত্র এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংক্রান্ত তথ্যচিত্র রাখার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ তলায় থাকবে আবাসিক সুবিধা। পঞ্চম তলায় থাকবে ওয়াচ টাওয়ার ও কফি কর্নার। এখানে পর্যটকদের থাকা-খাওয়াসহ বিনোদনের সুযোগ তৈরি হবে।

 

দ্বিতীয় ভবনের নিচতলায় থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও সিকিউরিটি ইউনিট। দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ তলায় থাকবে আবাসিক সুবিধা। পঞ্চম তলায় হবে ওয়াচ টাওয়ার ও রেস্তোরাঁ। দুটি ভবনকে সংযুক্ত করবে ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থের একটি সেতু, যা নির্মিত হবে মাটি থেকে ২৫ ফুট ওপরে। সেতুটির মাঝ বরাবর ৫ ফুট চওড়া একটি রাস্তা রেখে দুপাশে থাকবে দেশের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর স্টল। সরকারের অনুমোদন পেলে বাংলাদেশ ভারত, নেপাল ও ভুটানের স্টলও রাখার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।

 

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক পঞ্চগড়ে ঘুরতে আসেন। বিশেষ করে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট দেখতে যান তারা। কিন্তু সেখানে থাকা-খাওয়ার তেমন সুযোগ-সুবিধা নেই। পঞ্চগড়ের পর্যটনশিল্পকে এগিয়ে নিতে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কয়ার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। এটি নির্মিত হলে পঞ্চগড়ের পর্যটনশিল্পে নতুনমাত্রা যোগ হবে।